হারিয়ে যাচ্ছে নগরীর সৌন্দর্য!
আমাদের প্রিয় নগরী ঢাকাকে সুন্দর করে সাজাতে কাজ করে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। তবে অনেকের ধারণা রাজধানী ঢাকার সৌন্দর্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী নগরী ঢাকার সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের এবারের লিখেছেন খালেদ আহমেদ
ঢাকার ঐতিহ্য চার শ' বছরের। সেই প্রাচীনকাল থেকেই এই নগরীর সৌন্দর্যের একটা আলাদা রূপ আছে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন আমাদের প্রিয় নগরী ঢাকার সৌন্দর্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঢাকা সিটি করপোরেশন সড়কের মাঝে গাছ লাগালেও অনেক স্থানেই সঠিক পরিচর্যার অভাবে সেগুলো মরে যাচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন সড়কের মাঝে বিউটিফিকেশনের কাজে ব্যবহূত রেলিং বা কাঁটাতারের বেড়াগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও আবার চুরি হয়ে গেছে। এছাড়া সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাস্তার মাঝে আইল্যান্ডগুলো কাজ সঠিকভাবে করা হয় না বলে অভিয়োগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে সম্পন্ন হওয়া মিরপুর থানার সামনে থেকে বিসিক বিল্ডিং পর্যন্ত আইল্যান্ডের কাজের মান অনেক খারাপ। সেখানকার শতকরা ৯০ ভাগ কাজেই সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য অনেক স্থানে এসব কাজের জন্য শুধু সুরকি, বালু ও ইট বিছিয়ে কোনো রকমে কাজ হয়। আবার উত্তরার মাসকট পস্নাজার সামনের আইল্যান্ডের কাজের মানও খারাপ বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ডিসিসি'র সংশিস্নষ্ট দপ্তরের একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, কাজের মান ঠিক আছে। আমরা চেষ্টা করেছি সঠিকভাবে কাজ করতে।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, এতিহ্যবাহী ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে তারা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়ক বদ্বীপ নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে জিপিও মোড়, পল্টন মোড়, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্টের সামনে ফোয়ারা, কারওয়ান বাজার মোড়ে ফোয়ারা, পান্থ কুঞ্জ, সাতরাস্তা মোড়ে ময়ূর, শেরাটনের সামনে রাজসিক, এয়ারপোর্ট রোডে বিভিন্ন নান্দনিক সড়ক বদ্বীপসহ নির্মাণ করেছে। নগরীতে দিন দিন পার্ক ও খেলার মাঠ সংকুচিত হচ্ছে। সুন্দর নগরায়নে নগরীবাসীর মানসিক বিনোদনের জন্য অনেক বেশি পার্ক ও খেলার মাঠ প্রয়োজন। সেই কথা চিন্তা করেই ডিসিসি নগরীতে ৪২টি পার্ক সম্প্রসারণ করেছে, যেগুলো নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। এর মধ্যে বনানীতে রয়েছে পাঁচটি পার্ক। এর মধ্যে বনানী লেক পার্ক ছাড়াও ডি, সি, জি ও এফ বস্নকে রয়েছে শিশুপার্ক। বারিধারায় রয়েছে দুইটি পার্ক। গুলশানে রয়েছে চারটি পার্ক। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে একটি পার্ক। বাহাদুর শাহ পার্ক। সায়েদাবাদ শিশু পার্ক। স্বামীবাগ শিশু পার্ক। গুলিস্তান শিশু পার্ক। সিরাজুদৌলস্না পার্ক। জগন্নাথ শাহ রোড পার্ক। হাজারীবাগ পার্ক। নওয়াবগঞ্জ পার্ক। শ্যামলীতে রয়েছে দুইটি পার্ক। এরমধ্যে একটি শ্যামলী পার্ক ও আরেকটি শ্যামলী শিশু পার্ক। শহীদ শাকিল পার্ক। শিয়া মসজিদ পার্ক। মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড পার্ক। কারওয়ান বাজার পার্ক। ফার্মগেট পার্ক। পান্থকুঞ্জ পার্ক। কলাবাগান লেক সার্কাস পার্ক। মাজেদ সরদার পার্ক। মতিঝিল পার্ক। বংশাল পার্ক। পলস্নবী শিশু পার্ক। উদ্ভিদ উদ্যান। নারিন্দা শিশু পার্ক। খিলগাঁও শিশু পার্ক। আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার শিশু পার্ক। গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক, ওসমানী উদ্যান প্রভৃতি। সেই সাথে ধানমণ্ডি লেক উন্নয়ন প্রকল্পটি করপোরেশনের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। নগরীর সাধারণ মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য ধানমন্ডি লেক উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। ধানমণ্ডি লেকটি ৮৫.৬০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৩১ একর স্থলভাগ আর বাকিটা জলরাশি। এই পাকটি নগরবাসীর কাছে একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে মনে স্থান করে নিয়েছে। সিটি করপোরেশনের বিউটিফিকেশনের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, 'বাড়ির সামনে সবাই সুন্দর রাখে। কিন্তু পেছনের দিক সুন্দর রাখে না। তেমনি ডিসিসি'র সামনের দিকটা অর্থাৎ শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, উত্তরা রেলগেট পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে সাজানো। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে সড়ক বদ্বীপ। আর পেছনের দিক বা সায়েদাবাদ, ফ্লাইওভার হয়ে প্রগতি সরণি, মিরপুর গাবতলী এলাকাগুলো সে রকম সুন্দর নয়। এ সব স্থানগুলোতে জাতীয় দিবস এবং আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের সময় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর নগরীজুড়ে সুন্দর করে সাজানো হবে। ১৫ ডিসেম্বররের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। সেই সাথে বিভিন্ন সড়কের গাছের টব ও বস্নকগুলো রঙ করা হবে।' ওই কর্মকর্তা আরো জানান, 'বর্তমানে বিভিন্ন সড়কের গাছগুলোতে পানি দেয়া হয় না। কারণ বর্ষার সময় এমনিতেই বৃষ্টির পানি পায় গাছগুলো। গ্রীষ্ম মৌসুমে গাছে পানি দেয়ার জন্য সাতটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। তবে ডিসিসি'র গাছে পানি দেয়ার জন্য পানি পেতেও অসুবিধা হয়। কেননা ধানমন্ডি লেক থেকে পানি নেয়া যায় না। পানির জন্য ওয়াসার কাছে ধন্না দিতে হয়। তাদের কাছে পানি চাইলেও তারা বলে জনগণকে পানি দিতে পারি না, গাছে পানি দেয়ার জন্য পানি কোথা থেকে দিব?' ডিসিসি'র আরেকটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর তারা বিউটিফিকেশনের জন্য এক কোটি টাকা ব্যয় করেন এই প্রকল্পে। নগর ভবনসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাজানো ও আলোকসজ্জা করে থাকে জাতীয় ও বিশেষ দিবসগুলোতে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক নিজেদের উদ্যোগেও কাজ করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ও সিটি ব্যাংক উলেস্নখযোগ্য।
ছবি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর
ঢাকার ঐতিহ্য চার শ' বছরের। সেই প্রাচীনকাল থেকেই এই নগরীর সৌন্দর্যের একটা আলাদা রূপ আছে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন আমাদের প্রিয় নগরী ঢাকার সৌন্দর্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঢাকা সিটি করপোরেশন সড়কের মাঝে গাছ লাগালেও অনেক স্থানেই সঠিক পরিচর্যার অভাবে সেগুলো মরে যাচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন সড়কের মাঝে বিউটিফিকেশনের কাজে ব্যবহূত রেলিং বা কাঁটাতারের বেড়াগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও আবার চুরি হয়ে গেছে। এছাড়া সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাস্তার মাঝে আইল্যান্ডগুলো কাজ সঠিকভাবে করা হয় না বলে অভিয়োগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে সম্পন্ন হওয়া মিরপুর থানার সামনে থেকে বিসিক বিল্ডিং পর্যন্ত আইল্যান্ডের কাজের মান অনেক খারাপ। সেখানকার শতকরা ৯০ ভাগ কাজেই সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য অনেক স্থানে এসব কাজের জন্য শুধু সুরকি, বালু ও ইট বিছিয়ে কোনো রকমে কাজ হয়। আবার উত্তরার মাসকট পস্নাজার সামনের আইল্যান্ডের কাজের মানও খারাপ বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ডিসিসি'র সংশিস্নষ্ট দপ্তরের একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, কাজের মান ঠিক আছে। আমরা চেষ্টা করেছি সঠিকভাবে কাজ করতে।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, এতিহ্যবাহী ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে তারা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়ক বদ্বীপ নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে জিপিও মোড়, পল্টন মোড়, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্টের সামনে ফোয়ারা, কারওয়ান বাজার মোড়ে ফোয়ারা, পান্থ কুঞ্জ, সাতরাস্তা মোড়ে ময়ূর, শেরাটনের সামনে রাজসিক, এয়ারপোর্ট রোডে বিভিন্ন নান্দনিক সড়ক বদ্বীপসহ নির্মাণ করেছে। নগরীতে দিন দিন পার্ক ও খেলার মাঠ সংকুচিত হচ্ছে। সুন্দর নগরায়নে নগরীবাসীর মানসিক বিনোদনের জন্য অনেক বেশি পার্ক ও খেলার মাঠ প্রয়োজন। সেই কথা চিন্তা করেই ডিসিসি নগরীতে ৪২টি পার্ক সম্প্রসারণ করেছে, যেগুলো নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। এর মধ্যে বনানীতে রয়েছে পাঁচটি পার্ক। এর মধ্যে বনানী লেক পার্ক ছাড়াও ডি, সি, জি ও এফ বস্নকে রয়েছে শিশুপার্ক। বারিধারায় রয়েছে দুইটি পার্ক। গুলশানে রয়েছে চারটি পার্ক। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে একটি পার্ক। বাহাদুর শাহ পার্ক। সায়েদাবাদ শিশু পার্ক। স্বামীবাগ শিশু পার্ক। গুলিস্তান শিশু পার্ক। সিরাজুদৌলস্না পার্ক। জগন্নাথ শাহ রোড পার্ক। হাজারীবাগ পার্ক। নওয়াবগঞ্জ পার্ক। শ্যামলীতে রয়েছে দুইটি পার্ক। এরমধ্যে একটি শ্যামলী পার্ক ও আরেকটি শ্যামলী শিশু পার্ক। শহীদ শাকিল পার্ক। শিয়া মসজিদ পার্ক। মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড পার্ক। কারওয়ান বাজার পার্ক। ফার্মগেট পার্ক। পান্থকুঞ্জ পার্ক। কলাবাগান লেক সার্কাস পার্ক। মাজেদ সরদার পার্ক। মতিঝিল পার্ক। বংশাল পার্ক। পলস্নবী শিশু পার্ক। উদ্ভিদ উদ্যান। নারিন্দা শিশু পার্ক। খিলগাঁও শিশু পার্ক। আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার শিশু পার্ক। গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক, ওসমানী উদ্যান প্রভৃতি। সেই সাথে ধানমণ্ডি লেক উন্নয়ন প্রকল্পটি করপোরেশনের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। নগরীর সাধারণ মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য ধানমন্ডি লেক উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। ধানমণ্ডি লেকটি ৮৫.৬০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৩১ একর স্থলভাগ আর বাকিটা জলরাশি। এই পাকটি নগরবাসীর কাছে একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে মনে স্থান করে নিয়েছে। সিটি করপোরেশনের বিউটিফিকেশনের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, 'বাড়ির সামনে সবাই সুন্দর রাখে। কিন্তু পেছনের দিক সুন্দর রাখে না। তেমনি ডিসিসি'র সামনের দিকটা অর্থাৎ শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, উত্তরা রেলগেট পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে সাজানো। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে সড়ক বদ্বীপ। আর পেছনের দিক বা সায়েদাবাদ, ফ্লাইওভার হয়ে প্রগতি সরণি, মিরপুর গাবতলী এলাকাগুলো সে রকম সুন্দর নয়। এ সব স্থানগুলোতে জাতীয় দিবস এবং আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের সময় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর নগরীজুড়ে সুন্দর করে সাজানো হবে। ১৫ ডিসেম্বররের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। সেই সাথে বিভিন্ন সড়কের গাছের টব ও বস্নকগুলো রঙ করা হবে।' ওই কর্মকর্তা আরো জানান, 'বর্তমানে বিভিন্ন সড়কের গাছগুলোতে পানি দেয়া হয় না। কারণ বর্ষার সময় এমনিতেই বৃষ্টির পানি পায় গাছগুলো। গ্রীষ্ম মৌসুমে গাছে পানি দেয়ার জন্য সাতটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। তবে ডিসিসি'র গাছে পানি দেয়ার জন্য পানি পেতেও অসুবিধা হয়। কেননা ধানমন্ডি লেক থেকে পানি নেয়া যায় না। পানির জন্য ওয়াসার কাছে ধন্না দিতে হয়। তাদের কাছে পানি চাইলেও তারা বলে জনগণকে পানি দিতে পারি না, গাছে পানি দেয়ার জন্য পানি কোথা থেকে দিব?' ডিসিসি'র আরেকটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর তারা বিউটিফিকেশনের জন্য এক কোটি টাকা ব্যয় করেন এই প্রকল্পে। নগর ভবনসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাজানো ও আলোকসজ্জা করে থাকে জাতীয় ও বিশেষ দিবসগুলোতে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক নিজেদের উদ্যোগেও কাজ করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ও সিটি ব্যাংক উলেস্নখযোগ্য।
ছবি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর