Pages

Search This Blog

Friday, December 10, 2010

হারিয়ে যাচ্ছে নগরীর সৌন্দর্য!

হারিয়ে যাচ্ছে নগরীর সৌন্দর্য!

আমাদের প্রিয় নগরী ঢাকাকে সুন্দর করে সাজাতে কাজ করে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। তবে অনেকের ধারণা রাজধানী ঢাকার সৌন্দর্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী নগরী ঢাকার সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের এবারের লিখেছেন খালেদ আহমেদ

ঢাকার ঐতিহ্য চার শ' বছরের। সেই প্রাচীনকাল থেকেই এই নগরীর সৌন্দর্যের একটা আলাদা রূপ আছে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন আমাদের প্রিয় নগরী ঢাকার সৌন্দর্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঢাকা সিটি করপোরেশন সড়কের মাঝে গাছ লাগালেও অনেক স্থানেই সঠিক পরিচর্যার অভাবে সেগুলো মরে যাচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন সড়কের মাঝে বিউটিফিকেশনের কাজে ব্যবহূত রেলিং বা কাঁটাতারের বেড়াগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও আবার চুরি হয়ে গেছে। এছাড়া সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাস্তার মাঝে আইল্যান্ডগুলো কাজ সঠিকভাবে করা হয় না বলে অভিয়োগ রয়েছে। কয়েকদিন আগে সম্পন্ন হওয়া মিরপুর থানার সামনে থেকে বিসিক বিল্ডিং পর্যন্ত আইল্যান্ডের কাজের মান অনেক খারাপ। সেখানকার শতকরা ৯০ ভাগ কাজেই সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য অনেক স্থানে এসব কাজের জন্য শুধু সুরকি, বালু ও ইট বিছিয়ে কোনো রকমে কাজ হয়। আবার উত্তরার মাসকট পস্নাজার সামনের আইল্যান্ডের কাজের মানও খারাপ বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ডিসিসি'র সংশিস্নষ্ট দপ্তরের একজন প্রকৌশলী জানিয়েছেন, কাজের মান ঠিক আছে। আমরা চেষ্টা করেছি সঠিকভাবে কাজ করতে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, এতিহ্যবাহী ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে তারা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সড়ক বদ্বীপ নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে জিপিও মোড়, পল্টন মোড়, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্টের সামনে ফোয়ারা, কারওয়ান বাজার মোড়ে ফোয়ারা, পান্থ কুঞ্জ, সাতরাস্তা মোড়ে ময়ূর, শেরাটনের সামনে রাজসিক, এয়ারপোর্ট রোডে বিভিন্ন নান্দনিক সড়ক বদ্বীপসহ নির্মাণ করেছে। নগরীতে দিন দিন পার্ক ও খেলার মাঠ সংকুচিত হচ্ছে। সুন্দর নগরায়নে নগরীবাসীর মানসিক বিনোদনের জন্য অনেক বেশি পার্ক ও খেলার মাঠ প্রয়োজন। সেই কথা চিন্তা করেই ডিসিসি নগরীতে ৪২টি পার্ক সম্প্রসারণ করেছে, যেগুলো নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত। এর মধ্যে বনানীতে রয়েছে পাঁচটি পার্ক। এর মধ্যে বনানী লেক পার্ক ছাড়াও ডি, সি, জি ও এফ বস্নকে রয়েছে শিশুপার্ক। বারিধারায় রয়েছে দুইটি পার্ক। গুলশানে রয়েছে চারটি পার্ক। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে একটি পার্ক। বাহাদুর শাহ পার্ক। সায়েদাবাদ শিশু পার্ক। স্বামীবাগ শিশু পার্ক। গুলিস্তান শিশু পার্ক। সিরাজুদৌলস্না পার্ক। জগন্নাথ শাহ রোড পার্ক। হাজারীবাগ পার্ক। নওয়াবগঞ্জ পার্ক। শ্যামলীতে রয়েছে দুইটি পার্ক। এরমধ্যে একটি শ্যামলী পার্ক ও আরেকটি শ্যামলী শিশু পার্ক। শহীদ শাকিল পার্ক। শিয়া মসজিদ পার্ক। মোহাম্মদপুর ইকবাল রোড পার্ক। কারওয়ান বাজার পার্ক। ফার্মগেট পার্ক। পান্থকুঞ্জ পার্ক। কলাবাগান লেক সার্কাস পার্ক। মাজেদ সরদার পার্ক। মতিঝিল পার্ক। বংশাল পার্ক। পলস্নবী শিশু পার্ক। উদ্ভিদ উদ্যান। নারিন্দা শিশু পার্ক। খিলগাঁও শিশু পার্ক। আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার শিশু পার্ক। গুলশান ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশু পার্ক, ওসমানী উদ্যান প্রভৃতি। সেই সাথে ধানমণ্ডি লেক উন্নয়ন প্রকল্পটি করপোরেশনের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। নগরীর সাধারণ মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য ধানমন্ডি লেক উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। ধানমণ্ডি লেকটি ৮৫.৬০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৩১ একর স্থলভাগ আর বাকিটা জলরাশি। এই পাকটি নগরবাসীর কাছে একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে মনে স্থান করে নিয়েছে। সিটি করপোরেশনের বিউটিফিকেশনের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, 'বাড়ির সামনে সবাই সুন্দর রাখে। কিন্তু পেছনের দিক সুন্দর রাখে না। তেমনি ডিসিসি'র সামনের দিকটা অর্থাৎ শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, উত্তরা রেলগেট পর্যন্ত অনেক সুন্দর করে সাজানো। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে সড়ক বদ্বীপ। আর পেছনের দিক বা সায়েদাবাদ, ফ্লাইওভার হয়ে প্রগতি সরণি, মিরপুর গাবতলী এলাকাগুলো সে রকম সুন্দর নয়। এ সব স্থানগুলোতে জাতীয় দিবস এবং আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের সময় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর নগরীজুড়ে সুন্দর করে সাজানো হবে। ১৫ ডিসেম্বররের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। সেই সাথে বিভিন্ন সড়কের গাছের টব ও বস্নকগুলো রঙ করা হবে।' ওই কর্মকর্তা আরো জানান, 'বর্তমানে বিভিন্ন সড়কের গাছগুলোতে পানি দেয়া হয় না। কারণ বর্ষার সময় এমনিতেই বৃষ্টির পানি পায় গাছগুলো। গ্রীষ্ম মৌসুমে গাছে পানি দেয়ার জন্য সাতটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। তবে ডিসিসি'র গাছে পানি দেয়ার জন্য পানি পেতেও অসুবিধা হয়। কেননা ধানমন্ডি লেক থেকে পানি নেয়া যায় না। পানির জন্য ওয়াসার কাছে ধন্না দিতে হয়। তাদের কাছে পানি চাইলেও তারা বলে জনগণকে পানি দিতে পারি না, গাছে পানি দেয়ার জন্য পানি কোথা থেকে দিব?' ডিসিসি'র আরেকটি সূত্র জানায়, প্রতি বছর তারা বিউটিফিকেশনের জন্য এক কোটি টাকা ব্যয় করেন এই প্রকল্পে। নগর ভবনসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাজানো ও আলোকসজ্জা করে থাকে জাতীয় ও বিশেষ দিবসগুলোতে। নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক নিজেদের উদ্যোগেও কাজ করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ও সিটি ব্যাংক উলেস্নখযোগ্য।


ছবি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর

Wednesday, December 8, 2010

জরুরি ফোন (থানা)

ধানমন্ডি থানা : ৮৬৩১৯৪২ ০০ তেজগাঁও থানা : ৯১১৯৪৬৭, ৯১১৯৪৪৪ ০০ কোতোয়ালী থানা : ৭১১৬২৫৫ ০০ সূত্রাপুর থানা : ৭১১৬২৩৩ ০০ লালবাগ থানা :৭৩১৬৩০০ ০০ কামরাঙ্গীরচর থানা : ৮৬৩১৩২৯ ০০ মতিঝিল থানা :৮৩২৩০০৮ ০০ রমনা থানা : ৯৩৫০৪৬৮ ০০ ডেমরা থানা : ৭৫৪৬২৪৪ ০০ পলস্নবী থানা : ৮০১৫১২২ ০০ মিরপুর থানা : ৯০০১০০০-১ ০০ শ্যামপুর থানা : ৭৪৪০৬৯১ ০০ সবুজবাগ থানা : ৭২১৯৯৮৮, ৭২১৯৩৮৮ ০০ কালিগঞ্জ থানা : ৭২১৯০৯০ ০০ উত্তরা থানা :৮৯১৪৬৬৪, ৮৯১৪১২৬ ০০ বাড্ডা থানা : ৯৮৮২৬৫২ ০০ ক্যান্টনমেন্ট থানা : ৮৮২৯২৬৭, ৮৮২৯১৭৯ ০০ কাফরুল থানা : ৯৮৭১৭৭১ ০০ মোহাম্মদপুর থানা : ৯১১৯৯৪৩, ৯১১৯৯৬০ ০০ হাজারীবাগ থানা : ৯৬৬৯৯০০ ০০ গুলশান থানা : ৯৮৮০২৩৪ ০০ গুলিস্তান পুলিশ বক্স : ৯৫৫৮৩০৪ ০০ গাবতলী পুলিশ বক্স : ৯০০৩৭৯১ ০০ পুরানা পল্টন পুলিশ বক্স : ৮৩২২৫০১ ০০ কমলাপুর রেলস্টেশন পুলিশ বক্স : ৮৩২২৫০১-২৯৬ ০০ ফার্মগেট পুলিশ বক্স : ৯১১৯৯২৫।

Monday, December 6, 2010

বিপণিবিতানের সময়সূচি

বিপণিবিতানের সময়সূচি

ঢাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও বিপণিবিতান এলাকাভিত্তিক আলাদা আলাদা দিনে সপ্তাহে এক দিন পূর্ণদিবস ও আরেক দিন অর্ধদিবস (বেলা ২টা পর্যন্ত) বন্ধ। খোলা থাকবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
অঞ্চল-১

শুক্রবার পূর্ণ এবং শনিবার অর্ধদিবস বন্ধ
বিপণিবিতানগুলো হচ্ছে : বাংলাবাজার বইয়ের মার্কেট, ফরাশগঞ্জ কাঠের আড়ত, শ্যামবাজার কাঁচামালের পাইকারি বাজার, বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, আলম সুপার মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধুপখোলা মাঠ বাজার, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, কাপ্তানবাজার, ঠাটারীবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, চকবাজার, মৌলভীবাজার, ইমামগঞ্জ মার্কেট, বাবুবাজার, নয়াবাজার, ইসলামপুর কাপড়ের বাজার, পাটুয়াটুলী ইলেকট্রনিঙ্ ও অপটিক্যাল মার্কেট, নয়ামাটি এঙ্সেরিজ মার্কেট, শরিফ ম্যানশন, ছোট ও বড় কাটরা পাইকারি মার্কেট, বেগমবাজার, তাঁতীবাজার, নবাবপুর রোড ও নর্থ সাউথ রোডের দোকানপাট, আজিমপুর সুপার মার্কেট, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট এবং সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট।
অঞ্চল-২
রবিবার পূর্ণ এবং সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ
বিপণিবিতানগুলো হচ্ছে : মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোড়ান বাজার, মেরাদিয়া বাজার, আয়েশা মোশাররফ শপিং, দনিয়া তেজারত মার্কেট, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার এবং মিতালী সুপার মার্কেট।
অঞ্চল-৩
বৃহস্পতিবার পূর্ণ এবং শুক্রবার অর্ধদিবস বন্ধ
বিপণিবিতানগুলো হচ্ছে : সেঞ্চুরি আর্কেড, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, বিশাল সেন্টার, আয়েশা শপিং কমপ্লেঙ্, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, পলওয়েল সুপার মার্কেট, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্তান কমপ্লেঙ্, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়েমেনি মার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেট।
অঞ্চল-৪
মঙ্গলবার পূর্ণ এবং বুধবার অর্ধদিবস বন্ধ
বিপণিবিতানগুলো হচ্ছে : হাতিরপুল বাজার, মোতালিব প্লাজা, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, গ্রিন সুপার মার্কেট, ফার্মভিউ সুপার মার্কেট, সৌদিয়া সুপার মার্কেট, সেজান পয়েন্ট, লায়ন শপিং সেন্টার, নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনী চক, নূর ম্যানশন, বাকুশাহ মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেট, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, ইস্টার্ন মলি্লকা, গ্লোব শপিং, বদরুদ্দোজা মার্কেট, নূরজাহান মার্কেট, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, গাউসুল আযম মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, রাইফেল স্কয়ার, এআরএ শপিং সেন্টার, অরচার্ড পয়েন্ট, ক্যাপিটাল মার্কেট, ধানমণ্ডি প্লাজা, মমতাজ প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, প্লাজা এআর, প্রিন্স প্লাজা, রাপা প্লাজা, অর্কিড প্লাজা, কেয়ারি প্লাজা, আনাম র‌্যাংগস প্লাজা, কারওয়ান বাজার ডিআইটি মার্কেট, কাব্যকস সুপার মার্কেট, কিচেন মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট এবং সাকুরা মার্কেট।
অঞ্চল-৫
বৃহস্পতিবার পূর্ণ এবং শুক্রবার অর্ধদিবস বন্ধ
বিপণিবিতানগুলো হচ্ছে : মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেট, শাহ আলী সুপার মার্কেট, মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেঙ্ এবং মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট।
অঞ্চল-৬
রবিবার পূর্ণ এবং সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ
বিপণিবিতানগুলো হচ্ছে : বিসিএস কম্পিউটার মার্কেট, পল্লবী শপিং মার্কেট, মিরপুর বেনারসি পল্লী, পল্লবী সুপার মার্কেট, পূরবী সুপার মার্কেট, নিউ সোসাইটি মার্কেট, সুইডেন প্লাজা, পর্বতা টাওয়ার, তামান্না কমপ্লেঙ্, ছায়ানীড় সুপার মার্কেট, রজনীগন্ধা মার্কেট, ইব্রাহিমপুর বাজার, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেঙ্, রহমান মার্কেট, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ ও ২, নাভানা টাওয়ার, আলম সুপার মার্কেট এবং কলোনি বাজার মার্কেট।
অঞ্চল-৭
বুধবার পূর্ণদিবস এবং বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস বন্ধ
বিপণিবিতানগুলো হচ্ছে : লুৎফন শপিং টাওয়ার, হাকিম টাওয়ার, হল্যান্ড সেন্টার, নূরুন্নবী সুপার মার্কেট, সুবাস্তু নজর ভ্যালি, যমুনা ফিউচার পার্ক, রাজলক্ষ্মী কমপ্লেঙ্, রাজউক সেন্টার, একতা প্লাজা, মান্নান প্লাজা, বন্ধন প্লাজা, কুশল সেন্টার, এবি সুপার মার্কেট, আমীর কমপ্লেঙ্, মাসকাট প্লাজা, এসআর টাওয়ার, পুলিশ কো-অপারেটিভ ও রাজউক কসমো।
নগর ঐতিহ্যঢাকার আদি অধিবাসীর রসবোধবর্ষায় বাড়ির ছাদ চুইয়ে পানি পড়লে ভাড়াটিয়া তা মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেই ঢাকাইয়া বাড়ির মালিক উত্তর দিতেন, 'মাসে তিন টাকা ভাড়ার বাড়ির ছাদ দিয়া পানি পড়ব না তো কি শরবত পড়ব!' এমন বহু রঙ্গ-রসিকতা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পুরান ঢাকার আদি বাসিন্দাদের প্রাত্যহিক জীবনের নানা অলিগলিতে। স্বপন কুমার দাস
রহস্যময় নগরী ঢাকা। ৪০০ বছরের প্রাচীন এ রাজধানী নগরীকে কেন্দ্র করে যুগে যুগে বহু জনগোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটেছে। সময়ান্তে আবার তাদের বিলুপ্তিও ঘটেছে। কিন্তু তাদের নানা কাজকর্মের জন্য আজও তারা আলোচিত। ঢাকার আদি অধিবাসীও তেমনি একটি গুণের কারণে দেশব্যাপী আলোচিত। আর সে গুণটি হচ্ছে তাঁদের রসবোধ।
যাঁরা বহু বছর ধরে বংশপরম্পরায় পুরান ঢাকায় বসবাস করে আসছেন তাঁদের ঢাকার আদি অধিবাসী বলা হয়। তাঁদের আচার-ব্যবহার ও ভাষারীতিও আর দশটা সাধারণ নাগরিকের চেয়ে আলাদা। তবে তাঁরা অধিকাংশেরই ধর্ম ইসলাম। তাঁরা দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। একটা শ্রেণী ছিল তুলনামূলকভাবে শিক্ষিত। অপর শ্রেণীটি শিক্ষায় অনগ্রসর। নানা সংস্কারে আবদ্ধ। তাঁদের বলা হতো কুট্টি। তাঁরা উর্দু ও হিন্দির মিশ্রণে কথা বলতেন। আবার বাংলা ভাষায় ছিল বেশ পটু। রঙ্গরস মিশিয়ে কথা বলা ছিল তাঁদের সহজাত অভ্যাস। এ গুণের কারণেই তাঁরা সব মহলে আলোচিত।
একসময় ঢাকার আদি অধিবাসীর জীবন ছিল বৈচিত্র্যহীন আর একঘেয়েমিতে ভরা। ধর্মীয় ও বৈবাহিক অনুষ্ঠানাদি ছাড়া তাঁদের জীবনে তেমন কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল না। তাঁরা কেউ ছিল সাধারণ দোকানদার, কেউ রিকশাচালক বা ঘোড়াগাড়ির চালক। অভাব-অনটন ছিল নিত্যসঙ্গী। তবে তাঁদের মন ছিল প্রাণরসে ভরপুর। মজার মজার কাহিনী বলাটা তাঁদের জন্মগত অভ্যাস। এ সহজাত রসবোধের কারণে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে আনন্দের আবহ সৃষ্টি হতো। শত সমস্যায় জর্জরিত জীবনে হাসির ফল্গুধারা বয়ে যেত।
ঢাকার আদি অধিবাসীর এ রঙ্গরসের উদ্দেশ্য ছিল নিজে আনন্দ পাওয়া ও অন্যকে আনন্দ দেওয়া। অনেক সময় যাঁকে নিয়ে রসিকতা করা হতো, তিনিও আনন্দ পেতেন। ঢাকার আদি বাসিন্দাদের এ রসিকতাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক ছিল গতানুগতিক রসিকতা, যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। অপরটি হচ্ছে, সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক রসিকতা। গতানুগতিক রসিকতার মধ্যে ছিল হোটেলে চায়ের কাপে মাছি পড়ার কথা। হোটেল মালিককে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে মালিক উত্তর দিতেন, 'তিন পয়সার চায়ে মাক্ষি পড়ব না তো কি আত্তি (হাতি) পড়ব!' বর্ষাকালে বাড়ির ছাদ দিয়ে পানি পড়লে ভাড়াটিয়া তা মালিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাড়ির মালিক উত্তর দিতেন, 'মাসিক তিন টাকা ভাড়ার বাড়ির ছাদ দিয়া পানি পড়ব না তো কি শরবত পড়ব!' এ রকম বহু রসিকতা আছে, যা ছিল গতানুগতিক রসিকতা।
গতানুগতিক রসিকতার বাইরে ঢাকার আদি অধিবাসীর সবচেয়ে বড় গুণ ছিল তাৎক্ষণিক রসিকতা। যেকোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিকে বাকচাতুর্যের মাধ্যমে প্রকাশ করা ছিল তাঁদের সহজাত গুণ। উত্তর যেন তাঁদের ঠোঁটের কোণে লেগেই থাকত। শুধু ঘটনা ঘটার অপেক্ষা। যেমন_এক বৃদ্ধ মাছ কেনার জন্য মাছের বাজার ঘুরছে। হঠাৎ বৃদ্ধ পিছলে পড়ে গেলে সবাই হো হো করে হেসে ওঠে। তা দেখে বৃদ্ধ উঠে দাঁড়িয়ে মাটিতে সজোরে লাথি মেরে নিজে নিজেই বলতে থাকেন, 'যখন জুয়ান আছিলাম তখন মাটিতে ফালাইতে পারো নাই। অখন বুড়া অইছি, ফালাইবাই তো।' বৃদ্ধের এমন বুদ্ধিদীপ্ত কথা শুনে আবার সবাই হেসে ওঠে। ঢাকার আদি বাসিন্দাদের রসবোধের আরেকটি উদাহরণ_রিকশার চেন বারবার পড়ে যাচ্ছে তাই রিকশারোহী বিরক্ত হচ্ছেন। যাত্রীর এ বিরক্ত দূর করার জন্য রিকশাচালক চেন ওঠানোর সময় নিজে নিজেই বলতে থাকে_'বউ পুরান অইয়া গেলে যেমন মাথা থাইকা ঘুমটা পইড়া যায়, চেইনটাও বউয়ের মতো পুরান হইয়া গেছে, এর লেইগা বারবার পইড়া যাইতাছে। মহাজনেরে কইয়া আইজই চেইনটা বদলাইয়া লমু।'
শোকাচ্ছন্ন পরিবেশ হালকা করার ব্যাপারেও ঢাকার আদি অধিবাসীর জুড়ি নেই। যেমন_এক ব্যক্তি মারা যাওয়ায় তাঁকে কবরস্থানে আম গাছের তলে দাফন করে আসা হয়। মৃতের পরিবারের সবাই এখন শোকে নিমজ্জিত। এ পরিবেশ হালকা করার জন্য মৃতের ছেলের এক বন্ধু বলে ওঠে, 'আবে হালা তোর বাবারে আম গাছের তলায় কবর দিছস ক্যান। রোদে তো কষ্ট পাইব, বটগাছের তলায় কবর দিলে ছায়া বি পাইত। খুশি বি থাকত।' এমন কথায় পরিবেশ নিমিষে হালকা হয়ে যায়।
ঢাকার আদি অধিবাসী কথার মাধুর্য বাড়ানোর জন্য প্রায়ই হালা (শালা) শব্দটি ব্যবহার করে। এমনকি বাবা হালা, মা হালা, পোলা হালাও বলে। যেমন_গৃহশিক্ষক পড়াতে না আশায় এক ছাত্রী তার প্রতিবেশী বান্ধবীকে জানালা দিয়ে বলে, 'সার হালা মনে অইতাছে আইজকা পড়াইতে আইব না। চল লালবাগ কিল্লা দেইখা আহি।'
ঢাকার আদি অধিবাসীর এ রসবোধ সার্থকভাবে ব্যবহার করেছেন প্রয়াত সাহিত্যিক এম আর আখতার মুকুল। তিনি '৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার আদিবাসীদের বাচনভঙ্গি ও রসবোধের ধারায় চরমপত্র পাঠ করে একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা প্রত্যাশীদের আলোড়িত ও উৎসাহিত করেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত চরমপত্র অনুষ্ঠানটি ছিল তখন সবচেয়ে জনপ্রিয়।
ঢাকার আদি অধিবাসীর এ রসবোধটা অতুলনীয়। বিশ্বের নানা দেশে অঞ্চলবিশেষের আদি অধিবাসীর মধ্যে এ বৈশিষ্ট্য বিরল। সেদিক থেকেও তাঁরা এক গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী। তবে সে বৈশিষ্ট্যে আজ ভাটা পড়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাঁরা অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন, শিক্ষা-দীক্ষায়ও এগিয়েছেন। কিন্তু গর্বের সেই রসবোধটা আজ লাখো মানুষের ভিড়ে হারিয়ে গেছে।

বৃষ্টির পানি সংগ্রহে হবে ওয়াটার প্রিজারভেশন সেন্টার

বৃষ্টির পানি সংগ্রহে হবে ওয়াটার প্রিজারভেশন সেন্টার
আমি ২০০৪ সাল থেকে এ প্রকল্পের পরিকল্পনার কাজ শুরু করি। দীর্ঘদিনের সে পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়নের পথে। রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ কমানো; যেমন জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশদূষণ বন্ধের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন স্থান হিসেবে হাতিরঝিলকে তুলে ধরাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়েছে এ কথা ঠিক, তার পরও এর বেশির ভাগ কাজ এখন শেষ। এর সঙ্গে যুক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরলস প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
এখানে কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, সেনাবাহিনীর প্রকৌশল কোর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা ওয়াসা। আমাদের এ প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে আশপাশের এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের জন্য একটি ওয়াটার প্রিজারভেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। এটি সংশ্লিষ্ট এলাকার জলাবদ্ধতা রোধে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। এতে শহরের পরিবেশদূষণও বন্ধ হবে।
আমরা চেষ্টা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার, তবে অতিরিক্ত কিছু সময়ও লাগতে পারে। এ প্রকল্পের কিছু অংশ নিয়ে কয়েকটি মামলা ছিল। তার বেশির ভাগই ইতিমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। যে কয়টি আছে তা মাস কয়েকের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও আমাদের কাজ পুরোদমে চলছে। ঈদের বন্ধে আমরা পুরোদমে কাজ করেছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজও প্রায় শেষের দিকে। তবে বিজিএমইএ ভবন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমার ধারণা, বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর কথা চিন্তা করে বিকল্প জায়গায় তাদের ভবনটি সরিয়ে নেবে। তবে সরকার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানায়নি। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে আমাদের নাগরিক জীবনে বেশ বড় একটা পরিবর্তন আসবে।

Wednesday, December 1, 2010

পুরাতন কাপড়ের হাট

পুরাতন কাপড়ের হাট

রাজধানীতে ফেরিঅলারা বিভিন্ন পাড়া-মহলস্নায় ঢুকে পুরাতন জামা-কামড়, পস্নাস্টিকের দ্রব্য কিংবা সিলভারসহ শাক-সবজি দিয়ে বিনিময় করে। 'পুরনো জামা-কাপড় আছে?' এই ধরনের হাঁক-ডাক দিয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়ির গৃহিনীদের কাছ থেকে এসব বিনিময় করে নিয়ে যায়। কোথায় নিয়ে যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল পুরান ঢাকার বেচারাম দেউরি, বেগম বাজারে পুরাতন জামা-কাপড় বিক্রির মার্কেট রয়েছে। ওখানে নিয়ে ফেরিঅলারা গৃহিনীদের কাছ থেকে আনা জামা-কাপড় সের দরে বিক্রি করে। আবারও প্রশ্ন জাগে, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা এই কাপড় নিয়ে কী করে? পুরান ঢাকার বেচারাম দেউরির কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে এর উত্তর খুঁজে পাওয়ার জন্য গত রোববার পুরাতন কাপড় পাইকারি ব্যবসায়ী আরেফ আলীর সাথে কথা হয়। বয়স ৬৫ বছর। থাকেন বেগম বাজারে ভাড়া বাড়িতে, পরিবার-সন্তানদের নিয়ে। প্রায় ৫ বছর ধরে পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করছেন। তার দেশের বাড়ি বিক্রমপুরে। আরেফ আলী বলেন, আমরা ফেরিঅলাদের কাছ থেকে পুরান কাপড় সের দরে ক্রয় করে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে থাকি। আমাদের পাইকারি ক্রেতারা সাধারণত ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার গ্রামগঞ্জের। যেমন রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা ইত্যাদি অঞ্চল থেকে পাইকারি ক্রেতা আসে। তারা আমাদের কাছ থেকে ক্রয় করে খুচরা বিক্রি করে। এক প্রশ্নের জবাবে আরেফ আলী জানান, আমরা কাপড়ের মধ্যে প্যান্ট, শার্ট, শাড়ি, লুঙ্গি, মশারিসহ যাবতীয় পুরাতন কাপড় বিক্রি করে থাকি। এখানে প্রায় দু'শত দোকানদার রয়েছে। এই ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক হাজার লোক জড়িত। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার মার্কেট বন্ধ থাকে। তিনি বলেন, সিলভার ফেরিঅলাদের কাছ থেকে পিস হিসেবে অথবা ৩-৪ টাকা কেজি দরে হিসেবে পুরাতন কাপড় ক্রয় করা হয়। অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরাসরি পরিচিত লোক ছাড়া অপরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে কাপড় ক্রয় করা হয় না। এখানে চুরির মাল হলে জরিমানা দিতে হবে। আমাদের দোকানদারদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে যে, অপরিচিত কোনো লোকের কাপড় কেনা যাবে না। কিন্তু যে কোনো সিলভার ফেরিঅলার কাছ থেকে কেনা যাবে। এখানে ৮-১২ ফিটের প্রতিটি দোকান ভাড়া ৩ হাজার টাকা। আর অ্যাডভান্স নিচ্ছে এক লাখ টাকা। আরেফ আলী জানান, এখানে স্বাধীনতার পর এই ব্যবসা খুব জমজমাট ছিল। গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসার অবস্থা খারাপ যাচ্ছে। আরেফ আলীর সংসারে ৮ জন সদস্য রয়েছে। বড় মেয়ে ও বড় ছেলে বিয়ে দিয়েছেন। ৩ হাজার টাকা বাসা ভাড়া দিয়ে কোনো রকমে বাস করছেন। তার সংসারে মাসিক খরচ ১৪-১৫ হাজার টাকা। এত টাকা পুরাতন কাপড় বিক্রি করে লাভ হয় না। ছেলে এবং মেয়ের জামাই কিছু অর্থ দিয়ে প্রতি মাসে সহায়তা করে থাকেন।
Source: Daily Ittefaq

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বইয়ের হাট

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বইয়ের হাট

০ লিমন আহমেদ ০

বই মানুষের পরম বন্ধু। নিঃসঙ্গ মানুষ তার নিঃসঙ্গতা কাটাতে হাত বাড়ায় বইয়ের দিকে। বইও আপনজনের মতোই সঙ্গ দেয়। বইপড়া মাবজীবনের বিরাট গুণ। বই পড়া নিয়ে আছে মহামনীষীদের অনেক বিখ্যাত বাণী। তার মধ্যে বহুল পরিচিত আর অন্যতম বাণীটি হচ্ছে 'বই কিনে কেউ দেওলিয়া হয় না, শুধু জ্ঞানার্জনের জন্যই নয়, একাডেমিক শিক্ষার জন্যও আমাদের অনেক বই পড়তে হয়। সংগ্রহ করতে হয় নানা বই। বই বাজার হিসেবে রাজধানীতে বিভিন্ন মার্কেটে অনেক বাজারই বিখ্যাত। তবে নিজেদের কর্মব্যস্ততার জন্য একটি বই কিনতে অনেক দিন সময় করতে পারে না অনেকেই। দেখা যায় শুক্রবার দিন কাজ তেমন না থাকলেও ঐদিন কাছের বই বাজারটি বন থাকে। তাছাড়া একসাথে বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়াটাও কঠিন হয় প্রায় সময়। এসব সমস্যা বিবেচনা করেই এলিফ্যান্ট রোডের কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপেস্নক্সে গড়ে উঠেছে বইয়ের হাট। গত ৩০ এপ্রিল থেকে এই হাটের পথচলা শুরু। হাটটির বিশেষত্ব হলো যাবতীয় বিষয়ের বইয়ের সমাহার নিয়ে প্রতি শুক্রবার এই বইয়ের হাট। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, চিকিৎসাশাস্ত্র, একাডেমিক বিষয়সমূহসহ প্রায় সব বিষয়ের বই পাওয়া যাবে এখানে। আছে নবীন-প্রবীণ, উঠতি-বিখ্যাত আর জনপ্রিয় সব লেখকের বই। প্রিয়জনকে নিয়ে ছুটির দিনে চলে যেতে পারেন আপনার বইয়ের নতুন ঠিকানা প্রতি শুক্রবারের বইয়ের হাটে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে এই বইয়ের বাজার। ইতিমধ্যেই ক্রেতা আর বইপ্রেমীদের নজর কেড়েছে বিশেষ এই বইয়ের হাট। আপনিও চলে যেতে পারেন। সুন্দর পরিবেশের পাশাপাশি বিক্রেতাদের ব্যবহারই আপনাকে মগ্ধ করবে। কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপেস্নক্সের কিছু বইয়ের দোকান মালিকদের আয়োজনে শুক্রবারের বইয়ের হাট। দোকানগুলো যথাক্রমে মধ্যমা, সংহতি, নান্দনিক, অগ্রদূত, মুক্তচিন্তা, সমগ্র প্রকাশনা, বইপত্র, বিভাস, বদ্ব্বীপ, বৈঠকখানা, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, যেহেতু বর্ষা, ওসডার পাবলিকেশন্স, সংঘ প্রকাশন, বর্ষাদুপুর, গদ্যপদ্য, কিশোরমেলা প্রকাশনী, তক্ষশিলা, ঋতি্বক, বলাকা, পাঠসূত্র, গতি প্রকাশন, যুক্ত, শ্রাবণ প্রকাশনী, পড়ুয়া ও ছবির দোকান। রাজধানী ঢাকা নগরীর ২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোডের (কাঁটাবন) কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপেস্নক্সেই গড়ে ওঠা এই বইয়ের হাট নগরবাসী বইপ্রেমীদের সাথে বইয়ের সম্পর্ক বাড়াবে বলেই আশা করা যায়। বইয়ের সানি্নধ্য মানুষকে সুন্দর করে, শুদ্ধ করে, মার্জিত করে। উত্তম মানুষের জীবন গড়তে আমাদের সকলের বেশি বেশি বই পড়া দরকার। তেমনি যারা শিক্ষার্থী, তাদেরও প্রয়োজনীয় বইটি দরকার হাতের নাগালে উপযুক্ত মূল্যে। সবকিছুর সহজ ব্যবস্থায় নিয়োজিত প্রতি শুত্রবারের বইয়ের হাট।