বৃষ্টির পানি সংগ্রহে হবে ওয়াটার প্রিজারভেশন সেন্টার
আমি ২০০৪ সাল থেকে এ প্রকল্পের পরিকল্পনার কাজ শুরু করি। দীর্ঘদিনের সে পরিকল্পনা এখন বাস্তবায়নের পথে। রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ কমানো; যেমন জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশদূষণ বন্ধের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন স্থান হিসেবে হাতিরঝিলকে তুলে ধরাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে হয়েছে এ কথা ঠিক, তার পরও এর বেশির ভাগ কাজ এখন শেষ। এর সঙ্গে যুক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরলস প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
এখানে কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, সেনাবাহিনীর প্রকৌশল কোর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা ওয়াসা। আমাদের এ প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে আশপাশের এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের জন্য একটি ওয়াটার প্রিজারভেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। এটি সংশ্লিষ্ট এলাকার জলাবদ্ধতা রোধে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি। এতে শহরের পরিবেশদূষণও বন্ধ হবে।
আমরা চেষ্টা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার, তবে অতিরিক্ত কিছু সময়ও লাগতে পারে। এ প্রকল্পের কিছু অংশ নিয়ে কয়েকটি মামলা ছিল। তার বেশির ভাগই ইতিমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে। যে কয়টি আছে তা মাস কয়েকের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার পরও আমাদের কাজ পুরোদমে চলছে। ঈদের বন্ধে আমরা পুরোদমে কাজ করেছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজও প্রায় শেষের দিকে। তবে বিজিএমইএ ভবন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমার ধারণা, বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ নগরবাসীর কথা চিন্তা করে বিকল্প জায়গায় তাদের ভবনটি সরিয়ে নেবে। তবে সরকার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানায়নি। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে আমাদের নাগরিক জীবনে বেশ বড় একটা পরিবর্তন আসবে।
Search This Blog
Monday, December 6, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment