জনবল
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে মোট শিক্ষক ৫০ জন। এদের মধ্যে ফুল টাইম ২৭ জন। পার্ট টাইম শিক্ষক ১৬ জন, ভিজিটর ৬ জন (বিদেশি) এবং একজন সুপার নিউমারারি এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারী মোট ২৪ জন। কর্মকর্তা ৫ জন ৩য় শ্রেণীর ৪ জন এবং ৪র্থ শ্রেণীর ১৫ জন কার্যরত আছেন, বলে, সিনিয়র সচিব আফিজ আব্দুর রহমান।
পড়ানোর পদ্ধতি
আধুনিক ভাষা ইনস্টিউিট এক বছর মেয়াদী জুনিয়র ও সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা ও চার বছর মেয়াদি উচ্চতর ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের খুব যত্ন সহকারে ভাষা শেখানো হয়। তবে শেখানোর পদ্ধতি অন্যান্য বিভাগ থেকে আলাদা। এখানে প্রতিটি ভাষায় ভর্তি শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রুপ তৈরি করা হয়। প্রতিটি গ্রুপে (নূন্যতম) ৩০ জন শিক্ষার্থী থাকে। প্রতি বছর ৩টি শর্ট কোর্স করানো হয়। সংক্ষিপ্ত কোর্স এখানে ৫০-৬০ ঘণ্টা করানো হয়। এখানে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নন, বরং বাহিরের শিক্ষার্থীরাও যে কোনো ভাষায় সংক্ষিপ্ত কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে ইংরেজি কোর্স শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়াও রয়েছে ইংরেজি সংক্ষিপ্ত কোর্স (৫০-৬০) ঘণ্টা। এতে যে কোনো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেন।
সময় ও খরচ
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে প্রতিটি কোর্সের মেয়াদ এক বছর অথবা নূন্যতম ১২০ ঘণ্টা। তবে এখানে টানা চার বছর না পড়েও উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব। ইনস্টিটিউটে প্রতিটি কোর্সের ফি হাজার ৩০০ টাকা। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের শিক্ষার্থী যারা তাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৩৩ টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে এখানে ভর্তি হতে পারবেন। এজন্য ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ বিদেশি শিক্ষার্থীদের খরচ হবে ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া শিক্ষা উপকরণ বাবদ দিতে হবে আরও দুই হাজার টাকা।
যোগ্যতা
আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তা নয়, এখানে উচ্চ মাধ্যমিক পাস যে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেতে পারেন।
আবেদনপত্র সংগ্রহ
একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে একই সঙ্গে একাধিক ভাষায় ভর্তি হতে পারবেন না। টিএসসিতে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের শাখা থেকে ২৫০ টাকার বিনিময়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আবেদনপত্রের সাথে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার মার্কশিটের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মার্কশিটের প্রয়োজন হবে না। তবে আবেদনপত্রে নিজ নিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে।