Pages

Search This Blog

Sunday, October 17, 2010

নাগরিক ওয়েবসাইট কতটা নাগরিকবান্ধব

নাগরিক ওয়েবসাইট কতটা নাগরিকবান্ধব

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে মহাজোট সরকার। কিন্তু নগরের সেবা সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটের হাল কি আধুনিক হয়েছে? ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)—নগরের এই সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইটে নাগরিক জীবনের নানা জিজ্ঞাসার সমাধান সহজেই মেলার কথা। আবার নগরবাসীর সহায়তায় সেবা সংস্থার সাজানোগোছানো ওয়েবসাইটগুলোর সবগুলোতেই রয়েছে ‘ফিডব্যাক অপশন’। নগরবাসী হয়তো বিস্তারিত নাম-ঠিকানা দিয়ে ঘরগুলো পূরণ করেন। কিন্তু এসব কি কর্তৃপক্ষের হাতে যায়? অনলাইনে পাঠানো নগরবাসীর সমস্যাগুলোর সমাধান কি বাস্তবে হয়? সেবা সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট নাগরিকবান্ধব কি না, সেসব খোঁজ এনেছেন আলী আসিফ ও আজহার হোসেন।

নাগরিক ওয়েবসাইট কতটা নাগরিকবান্ধব

ডিসিসি
www.dhakacity.org
জন্মসনদ থেকে শুরু করে শেষ ঠিকানার ব্যবস্থা—এই নগরে নাগরিক সেবা দেওয়ার মূল ভূমিকাই পালন করে ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি)। নগরবাসীর প্রয়োজনের দিকটা বুঝেই হয়তো পরিমার্জিত ও পরিপাটি আদলে ডিসিসি তাদের ওয়েবসাইটটি সাজিয়েছে। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট খেতে হয় বাংলায় কোনো সংস্করণ না থাকায়। পুরো ওয়েবসাইটে বাংলার চিহ্নমাত্র নেই। সাধারণ নাগরিকেরা এখান থেকে তথ্য পাবেন কীভাবে?
প্রতিটি এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম-ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বর—সব কিছুই জানা যাবে এখানে একটা ঢুঁ মারলে। কিন্তু এই জানাটুকুই সার। ফোনে এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ওয়েবসাইটের নম্বর থেকে খোঁজ করলে দেখবেন বেশির ভাগ কমিশনারের নম্বর বন্ধ অথবা বদলে গেছে।
এ ছাড়া নগরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের রসদ কিংবা চলমান বিভিন্ন কর্মসূচির তালিকাটাও দেখা যাচ্ছে ওয়েবসাইটে। কিন্তু সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স কিংবা অযান্ত্রিক যান নিবন্ধনের নিয়মটাও খুব সহজেই পড়ে নেওয়া যায় ওয়েবসাইটটি থেকে। শুধু তাই নয়, সিটি করপোরেশনের ১৫টি বিভাগের কাজের ধরন, কোন কাজের জন্য কোন বিভাগে যোগাযোগ করতে হবে—সবকিছুরই বিশদ বিবরণ রয়েছে এই ওয়েবসাইটটিতে।
ডিসিসির ওয়েবসাইটে নাগরিক সুযোগসুবিধার সবটুকুই থাকার কথা। কর্তৃপক্ষ সেভাবেই সাজিয়েছে সাইটটিকে। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কমিউনিটি সেন্টার, গণগ্রন্থাগার কিংবা গণশৌচাগারের তালিকাটাও দর্শনার্থীকে জানাতে ভোলেনি ডিসিসি। কিন্তু এই জানানোতেও ডিসিসি দেখিয়েছে বেখেয়ালি মনোভাব।
 বাস সার্ভিস মেনুতে প্রসিকিউর অব ইনকামের বর্ণনায় ইংরেজি হরফে বাংলা লেখা হয়েছে।
 ‘অ্যাবাউট আস’ শিরোনামের মেনুতে ওয়ার্ড কমিশনারদের তালিকা ও যোগাযোগের নম্বর থাকলেও সেখানকার ওয়ার্ড প্রোফাইল অংশে ওয়ার্ডের কোনো প্রোফাইল নেই।
 আরবান হেলথ কেয়ার প্রজেক্টের সেবাকেন্দ্রগুলো নগরবাসীকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। অথচ প্রজেক্টের বর্ণনা থাকলেও আরবান হেলথ কেয়ার সেন্টারের ঠিকানা সাইটে উল্লেখ নেই।
 ডিসিসির ওয়েবসাইটের ফটো গ্যালারি খোলার পর সেবাগ্রহীতার নিজেকে বুঝে নিতে হবে, ছবিতে কী বোঝানো হচ্ছে। কারণ, কোনো ছবিরই ক্যাপশন নেই।
 ডিসিসির প্রোফাইল মেনুতে একনজরে উল্লেখ রয়েছে গণশৌচাগার ১৮টি। অথচ বাস্তবে রয়েছে ৪৮টি। যা ওয়েবসাইটের এস্টেট বিভাগে উল্লেখ রয়েছে। আবার প্রোফাইলে কমিউনিটি সেন্টারের সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে ২৭টি। কিন্তু সমাজকল্যাণ বিভাগের কমিউনিটি সেন্টারের তালিকায় উল্লেখ রয়েছে ৪৭টি সেন্টারের।
 সার্চ বক্সটি অকেজো।
 নগর মাতৃসদনের সংখ্যা দুটি। অথচ ঠিকানা ও বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে একটির। অন্যটি সম্পর্কে কোনো তথ্য সাইটটিতে নেই।
 মূল মেনু থেকে প্রজেক্ট বাটন চাপলে ডিসিসির কোনো প্রজেক্টের খোঁজ পাওয়া যায় না। পুরোটাই ফাঁকা দেখায়।
 ডাউনলোড মেনুতে বিল্ডিং পারমিশন ফরমের উল্লেখ থাকলেও এই ফরমটি ডাউনলোড করা যায় না।
 ফ্রিকোয়েন্ট আস্ক কোশ্চেনের লিস্টে শুধু প্রশ্নগুলোই দেওয়া আছে। কোনো উত্তর নেই!
 ওয়েবসাইটির হোম পেইজের নিচে নিউজ বাটন দেখলে মনে হবে এতে বুঝি ডিসিসির আপডেট কোনো তথ্য রয়েছে। অথচ এখানে ক্লিক করলে কিছুই মেলে না।
 ডিসিসির আর্কাইভ অপশনে গেলে কিছু পাওয়া যায় না।

ডিএমপি
www.dmp.gov.bd
নগরবাসীকে নিশ্চিন্তে রাখার দায়িত্ব যাদের ওপর সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) দুষ্টের দমন বা শিষ্টের লালনে কতটুকু সফল বা ব্যর্থ সে কাহিনি নগরবাসীর অজানা নয়। তবে ডিএমপির ওয়েবসাইটটিতে একবার চোখ বুলালে আপনার মনে হতে পারে, সারা দিন অপরাধীদের ধাওয়া করার ফলেই তাদের ওয়েবসাইটের বোধ হয় এই হাল। মহানগর পুুলিশদের এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ডিএমপির ভিশন স্টেটমেন্ট, ডিএমপি অর্গানোগ্রাম, হাই অফিশিয়ালস, সাবেক কমিশনার এবং ডিএমপির অর্ডিন্যান্সের অপশনে ক্লিক করে কোনো কিছুর দেখাই পাওয়া যায় না। তবে নগরবাসীর সুবিধার্থে নগরের ৩৯টি থানার ঠিকানা, ফোন নম্বর কিন্তু রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। এ ছাড়া ডিএমপির অপরাধ দমন, ট্রাফিক, গোয়েন্দা, ক্রাইম ও অপারেশন বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পাওয়া যাবে ওয়েবসাইটটিতে একবার ভালো করে চোখ বুলালে।
 ‘ফাইন্ড ইয়োর লোকাল পুলিশ’ অপশনে গিয়ে কেবল ১৮টি থানার এলাকাই খুঁজে পাওয়া যায়।
 ডিএমপির ওয়েবেসাইটে বর্ণিত কৃতিত্বের তালিকায় ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮, ২০১০ এই পাঁচ বছরের কৃতিত্বের কথা থাকলেও ২০০৯ সালেরটা কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বোধ হয় সেখানে ঠাঁই পায়নি।
 ডিএমপির অপরাধ পরিসংখ্যানে সর্বশেষ ২০১০ সালের মে মাসের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মে মাসের পর চার মাস পার হলেও ডিএমপির ওয়েবসাইটে তার কোনো অগ্রগতি নেই।
 ডিএমপি ওয়েববাইটে সাম্প্রতিক অপরাধপ্রবণতার যে চার্ট তারা দেখিয়েছে, সেটাতেও সাম্প্রতিক সময় বলতে হয়তো চার মাস আগের মে মাসকেই বোঝানো হয়েছে!
 ওয়েবসাইটটির হেল্প ব্যানারে মিসিং পারসন হিসেবে ডিএমপির নথিভুক্ত হারিয়ে যাওয়া মানুষদের তালিকা দেওয়া রয়েছে। সেখানে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কারোরই ছবি নেই। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি শনাক্তকরণে সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো ছবি। কিন্তু সাইটটিতে সে ব্যবস্থা নেই।
 ডিএমপির ওয়েবসাইটের হোম পেইজের নিচে নোটিশ বোর্ড রয়েছে। এতে নোটিশের কোনো খোঁজ নেই। একটি ড্রপ-ডাউন বক্স দিয়ে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, টেন্ডার ইত্যাদি ক্যাটাগরি দেওয়া রয়েছে।

ডিপিডিসি ও ডেসকো
www.dpdc.org.bd
www.desco.org.bd
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নগরবাসীমাত্রই জানে বিদ্যুৎ না থাকার জ্বালা। চাহিদা ও জোগানের সামঞ্জস্য না থাকায় দিনে-কিংবা রাতে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ পায় না নগরবাসী। লোডশেডিংয়ের এই ফাঁকতালে একবার ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন নগরের দুই বিদ্যুৎ সরবরাহকারীর ওয়েবসাইটে।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের বিলি-বণ্টন করে। সংস্থা দুটির ওয়েবসাইট থেকে লোডশেডিংয়ের সময়সূচি জেনে নেওয়া যায় আগেভাগেই। তবে ডিপিডিসি লোডশেডিংয়ের তালিকা করেছে সময়ের ওপর ভিত্তি করে এলাকার নাম ধরে ধরে। সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত ঢাকার কোন কোন এলাকায় লোডশেডিং থাকবে তার একটা তালিকা পাওয়া যাবে ডিপিডিসির ওয়েবসাইটে। একইভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সময়ের ওপর ভিত্তি করে স্থানের তালিকা দেখানো হয়েছে এখানে। সেটি জানতে হলে নিজের কম্পিউটারে ডাউনলোড করে তবেই আপনি তথ্যগুলো পাবেন। অপরদিকে ডেসকোর ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট এলাকার নাম লিখে সার্চ দিলে ওই এলাকার দিনের লোডশেডিংয়ের সময়সূচি তো বটেই, সপ্তাহেরটাও মেলে। কিন্তু এই তালিকার সঙ্গে এলাকার লোডশেডিংয়ের তথ্য বেশির ভাগ সময়ই মেলে না। নগরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এই দুটি সংস্থার মধ্যে ডেসকোর ঝকঝকে ওয়েবসাইটটি তথ্যবহুল। ওয়েবসাইটটির সার্চ বক্স বেশ কার্যকর।
 ডিপিডিসির ওয়েবসাইটে সিএফএল বিতরণের একটি হ্যান্ডবিল জুড়ে দেওয়া হয়েছে। উৎসাহী দর্শনার্থী সেটাকে ডাউনলোড করতে পারেন। কিন্তু ঘোলাটে এই হ্যান্ডবিলের একটি অক্ষরও বোঝা সম্ভব নয়।
 ফরম মেনুতে ডিপিডিসির কর্মচারীদের নানা ফরম দেওয়া আছে। নগরবাসীর সেবা ও সহায়তা সম্পর্কিত কোনো ফরম এখানে নেই।
 ডিপিডিসির সার্চ বক্সটি কাজ করে না।
 ডেসকোর সাইটে থাকা নিউজলেটারটি দুই বছর আগের।
 ওয়েবসাইটে দেওয়া ডেসকোর সিটিজেন চার্টারে প্রয়োজনীয় তথ্য নেই। ফলে নগরবাসী কোন কাজে কোন বিভাগে সহায়তার জন্য যাবে, সেটা বোঝা মুশকিল। ডিপিডিসির অসম্পূর্ণ চার্টারের শেষে চারটি ফোন নম্বর দিয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
 ডেসকোর অ্যাবাউট আস মেনুতে ‘প্রেস রিলিজ’ শিরোনামের লিংকে ঢুকলে একটি ডাউনলোড অপশন আসে। নগরবাসী ভেবে বসতে পারেন, এখান থেকে ডেসকোর সাম্প্রতিক প্রেস রিলিজ পাবেন। কিন্তু সেটি ডাউনলোড করলে যা মেলে, তাতে নগরবাসীর কোনো উপকারেই আসবে না। প্রেস রিলিজের বদলে বর্তমান চেয়ারম্যানের জীবনবৃত্তান্তটি মেলে লিংকটিতে।
 ডিপিডিসির ওয়েবসাইটে বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কিত নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ নেই। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি হ্যান্ডবিলের পিডিএফ ফাইল পাওয়া যায়। এতে ডিপিডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা রয়েছে।

রাজউক
www.rajukdhaka.gov.bd
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের ওয়েবসাইটে এক চক্কর দিলে মন্দ হয় না। তথ্যসমৃদ্ধ এই ওয়েবসাইটে একবার চোখ বুলালেই জানতে পারবেন ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্প সম্পর্কে। এ ছাড়া নগর বিষয়ে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কেও ছোটখাটো ধারণা পাওয়া যায় রাজউকের ওয়েবসাইটে। ইমারত-নির্মাণ বিধিমালা থেকে শুরু করে পুকুর, নদী ও খোলা জায়গা সংরক্ষণের নীতিমালা সম্পর্কেও বিশদ বিবরণ রয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। রাজউক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও জানানো হয়েছে সাইটটিতে। নিজের জমিতে ভবন নির্মাণের আবেদন ফরমও তুলতে পারবেন রাজউকের ওয়েবসাইট থেকে। ওয়েবসাইটের প্লানিং অপশনে ক্লিক করে ল্যান্ড ইউজ ক্লিয়ারেন্স প্রসেসে মাউস রাখলেই পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ফরম। নগরে বাস করে যদি নগর পরিকল্পনার কয়েকটি অপশন সম্পর্কে জানতে চান, তাহলেও একবার ক্লিক করতে পারেন রাজউকের সাইটে। বিভিন্ন সময়ে করা নগরের মহাপরিকল্পনাগুলো তথ্য, ছবি আর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টটি পাবেন রাজউকের সাইটটিতে।
ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি ব্যবহার সম্পর্কেও সম্যক ধারণা পাবেন এখান থেকে। তাই আপনি আপনার জমিতে ভবন নির্মাণের আগে দক্ষ লোকদের কাছে ধরনা দেওয়ার আগে একবার রাজউকের ওয়েবসাইটে পলক ফেলতে পারেন।
 রাজউকের নোটিশ মেনু থেকে নোটিশ পড়তে হলে অপেক্ষায় থাকতে হয়। এখানকার সব কটি নোটিশ পিডিএফ ফরমেট আকারে দেওয়া হয়। ফলে যে নোটিশটি দর্শনার্থীর প্রয়োজন সেটি দেখতে বেগ পেতে হয়।
 হোম পেজে শুধু মেনুর বিষয়বস্তুগুলো বাংলায় লেখা হয়েছে। পুরো সাইটটিই ইংরেজিতে লেখা।
 ফ্রিকোয়েন্টলি আস্ক কোশ্চেনে বিভিন্ন বিভাগের প্রশ্ন থাকলেও উত্তর রয়েছে শুধু একটি বিভাগের।
 রাজউক তাদের ওয়েবসাইটে প্রজেক্ট মেনুতে তিন ধরনের প্রকল্পের বর্ণনা দিয়েছে; সমাপ্ত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রকল্প। শিরোনাম বাংলায় লেখা হলে ভেতরের সব বর্ণনা ইংরেজিতে

ঢাকা ওয়াসা
www.dwasa.org.bd
ঢাকা ওয়াসার ওয়েবসাইটে নতুন পানির লাইন বা পয়োবর্জ্যের লাইন নেওয়ার নিয়মাবলি এবং আবেদন ফরম পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আরও রয়েছে সিটিজেন চার্টারের সেবা। কিন্তু ফন্টের সমস্যার কারণে সেটার পাঠ উদ্ধার করা ঢাকাবাসীর পক্ষে সম্ভব নয়। ওয়াসার ওয়েবসাইটটি যে কেবল গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ তা নয়, বরং সংস্থাটির কর্তাদের প্রতিও বেশ উদাসীন। স্বয়ং নিজেদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার তসকিম এ খানের পরিচিতি প্রদানের বেলায় ওয়াসার এই সাইটটি কেবল এমডির একটি ছবি আর তিনি কত দিন ওয়াসাতে কর্মরত এই তথ্যটুকু দিয়েই খালাস। আর ছবির নিচে অসম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য আর শিক্ষাজীবনের তালিকাটা ফাঁকা দেখে যে কারও মনে খটকা লাগাটাই স্বাভাবিক।
 ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী ওয়াসার অর্গানোগ্রামে এমডির অধীনে চারজন ডিএমডি রয়েছেন। তবুও ওয়েবসাইটে আরপিডি এবং ওঅ্যান্ডএম এই দুই বিভাগের দায়িত্বেই দেখা যাচ্ছে প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলীকে। তবে আশার বিষয় এই যে বাকি তিন কর্তার নাম-পরিচয় অসম্পূর্ণ থাকলেও কেবল লিয়াকত আলীর প্রোফাইলটিই প্রয়োজনীয় তথ্যে সমৃদ্ধ।
 ওয়াসার ওয়েবসাইটের মান্থলি এমআইএস নামের অপশনটিতে এখনো শোভা পাচ্ছে গত বছরের অক্টোবরের সর্বশেষ সংবাদগুলো।
 নিউজলেটার আর অ্যানুয়াল রিপোর্টে ক্লিক করলে একই জিনিস আসে।
 কমপ্লেন বিভাগের হেল্প বক্সটি কাজ করে না।
 ঢাকা ওয়াসার ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয়নি।
 এখানে নাগরিকবান্ধব মেনুর বদলে গুচ্ছ আকারে মেনু সাজানো হয়েছে। ফলে মেনুর পরে সাব-মেনুতে যেতে হলে জটিলতায় পড়তে হয়।
 নগরবাসীকে নিজেদের প্রতি মাসের পানির বিলের জন্য ওয়েবসাইটটিতে লগ-ইন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে লগ-ইন করা, পাসওয়ার্ড দেওয়া প্রভৃতি জটিল কাজ করতে হয়। এট আরও সহজ করা দরকার।

No comments:

Post a Comment